নিরাপদ ঈদ উদযাপনে মাঠে সক্রিয় পুলিশ—আইজিপির কড়া বার্তা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫ |   
আইজিপি

আসন্ন কোরবানির ঈদ উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সাথে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। আইজিপি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সভায় কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘœ করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুরহাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিং মলের নিরাপত্তা দেওয়ায় সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রাধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত করা আছে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যেকোনও পুলিশি কার্যক্রম যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অস্ত্রের প্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়। পুলিশের টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহপ্রবণ (ইনসারজেন্সি) এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে। আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে খবঃযধষ অৎসং অর্থাৎ জীবনবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়টিই বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া সভায় যে সকল লাইসেন্সধারী সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য লিখুন :